সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি এই আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে শাহবাজ বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তিপ্রিয় এবং উত্তেজনার বিপক্ষে। সাম্প্রতিক পহেলগাম হামলাকে আমরা ‘মিথ্যা পতাকা অপারেশন’ হিসেবে দেখছি। এরপরও আমরা সংযম দেখিয়েছি।” তিনি আরও জানান, ৬-৭ মে ভারতীয় আগ্রাসনে ৩৩ জন পাকিস্তানি নিহত হলে পাকিস্তান আত্মরক্ষার্থে ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে।
এই প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, “ট্রাম্পের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়েছে।”
একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি বলেন, “যুদ্ধবিরতি কার্যকরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যদি ওয়াশিংটন চায়, তবে দুই দেশের মধ্যে একটি পরিপূর্ণ সংলাপের আয়োজন সম্ভব, যা দক্ষিণ এশিয়া ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য সহায়ক হবে।”
ভারতের প্রতি কড়া ভাষায় তিনি বলেন, “নিজের আকাশ প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারা একটি দেশ কীভাবে গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে?”
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, “আমরা শান্তিপ্রিয় এবং সংলাপে প্রস্তুত। তবে ভারতের ভেতরের রাজনৈতিক উত্তেজনাকর বক্তব্য, বিশেষ করে মোদির ‘ট্রেলার’ মন্তব্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।”
তবে নয়াদিল্লি বরাবরই তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। ট্রাম্পের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে ইসলামাবাদের এই আহ্বান কীভাবে গৃহীত হবে, তা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।